ডায়রিয়াঃ কি করবেন আর কি করবেন না

3 MINUTES

ডায়রিয়া একটি সাধারণ গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল সমস্যা, যা বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে। ডায়রিয়া সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান এবং সম্ভাব্য চিকিৎসা পদ্ধতি জানা গুরুত্বপূর্ণ। ডায়রিয়া ঘটলে কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়, তা নিম্নরূপঃ

কি করবেন:

  1. পর্যাপ্ত জল পান করুন: ডায়রিয়ার সময় শরীর থেকে অনেক পানি ও ইলেকট্রোলাইট হারিয়ে যায়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি, ডাবের পানি, ওআরএস সলিউশন, এবং বিভিন্ন ধরনের ফলের রস পান করা উচিত।
  2. বিশ্রাম নিন: শারীরিক বিশ্রাম নেওয়া ডায়রিয়ার সময় আরোগ্য লাভে সাহায্য করে।
  3. সাইজ আপ খাদ্যাভ্যাস: সহজপাচ্য খাবার যেমন ভাত, বানানা, টোস্ট, এবং আপেলসস খেতে পারেন।
  4. প্রোবায়োটিক গ্রহণ: প্রোবায়োটিকস, যা দই বা অন্যান্য খাবারে পাওয়া যায়, আন্ত্রিক ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
  5. চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন: যদি ডায়রিয়া দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অস্বাভাবিক উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে ডাঃ খ্রিস্তোস জাভোস, একজন বোর্ড-সার্টিফাইড গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ও হেপাটোলজিস্টের সাথে peptiko.gr এর মাধ্যমে যোগাযোগ করা উচিত।

কি করবেন না:

  1. অ্যালকোহল ও ক্যাফিন পরিহার করুন: এই ধরনের পানীয় শরীর থেকে পানি হ্রাস করে।
  2. তৈলাক্ত ও মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন: এসব খাবার পেটের অস্বস্তি বাড়াতে পারে।
  3. ডেইরি প্রোডাক্টস এড়ানো: যদি ল্যাকটোস অসহনীয়তা থাকে, তাহলে ডেইরি প্রোডাক্টস এড়িয়ে চলা উচিত।
  4. ওষুধ স্বেচ্ছায় না নেওয়া: কোনো ওষুধ নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ডায়রিয়া একটি সাময়িক সমস্যা হতে পারে, তবে অবহেলা না করা এবং সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরি। ডাঃ খ্রিস্তোস জাভোসের সাথে peptiko.gr এর মাধ্যমে যোগাযোগ করে আরও বিশদ পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা যেতে পারে।

পাতলা পায়খানা হলে মাছ খাওয়া যাবে কি

মাছ সাধারণত প্রোটিনের একটি উৎস হিসেবে দেখা হয়, যা শরীরের পুনর্গঠন ও সুস্থ হতে সাহায্য করতে পারে। তবে, ডায়রিয়া হলে মাছ খাওয়া যাবে কিনা তা নির্ভর করে মাছের ধরন এবং প্রস্তুতির উপায়ের উপর।

মাছ খাওয়া যাবে:

  • সিদ্ধ বা গ্রিল করা মাছ: সহজপাচ্য হওয়ায়, সিদ্ধ বা গ্রিল করা মাছ খাওয়া যেতে পারে। এই ধরনের প্রক্রিয়া মাছের প্রোটিনকে সহজপাচ্য করে তোলে।
  • তেলমুক্ত ও মসলাবিহীন মাছ: মাছ প্রস্তুত করার সময় অতিরিক্ত তেল বা মসলা এড়িয়ে চলা উচিত।

মাছ খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত:

  • তৈলাক্ত বা মসলাদার মাছ: যেকোনো তৈলাক্ত বা মসলাদার খাবার পেটের সমস্যা বাড়াতে পারে।
  • কাঁচা মাছ: সুশি বা অন্যান্য কাঁচা মাছের পদ এই সময় এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এটি পেটের অস্বস্তি বা ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

পাতলা পায়খানা হলে কি চিড়া খাওয়া যাবে

পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়ার সময় খাদ্য নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিড়া (পোহা বা ফ্ল্যাট রাইস) হল এক ধরনের লাইট এবং সহজপাচ্য খাবার যা সাধারণত ডায়রিয়ার সময় খাওয়া যায়। এটি শরীরকে শক্তি প্রদান করে এবং পেটের জন্য কোমল হওয়ায় ডায়রিয়ার সময় এটি খাওয়া উপযোগী।

চিড়া খাওয়ার সুবিধা:

  • শক্তির উৎস: চিড়া কার্বোহাইড্রেটের ভালো উৎস যা দ্রুত শক্তি প্রদান করে।
  • সহজপাচ্য: এটি সহজপাচ্য হওয়ায় ডায়রিয়া হলে পেটের জন্য ভালো।
  • হালকা খাবার: চিড়া হালকা এবং পেট ফুলে যাওয়ার অনুভূতি কমাতে সাহায্য করে।

চিড়া খাওয়ার সময় মনে রাখা উচিত:

  • সহজ প্রস্তুতি: চিড়া খাওয়ার সময়, এটি যেন সামান্য নুন এবং চিনি দিয়ে সাধারণভাবে প্রস্তুত করা হয়। অতিরিক্ত মসলা বা তেল এড়িয়ে চলা উচিত।
  • পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ: শুরুতে কম পরিমাণে চিড়া খাওয়া উচিত এবং দেখা উচিত যে পেটের প্রতিক্রিয়া কেমন হয়।
  • পানি পান: ডায়রিয়ার সময় প্রচুর পানি ও ইলেকট্রোলাইট হারানো যায়, তাই পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত।

পাতলা পায়খানা হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে

পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়ার সময় কিছু ফল আপনার শরীরকে আরাম দিতে এবং আরোগ্য লাভে সহায়ক হতে পারে। এসব ফলে থাকা ভিটামিন, মিনারেল, এবং ফাইবার পেটের স্বাস্থ্য উন্নত করতে এবং ডায়রিয়া থেকে উত্তোরণে সাহায্য করতে পারে। তবে, সব ফল সমানভাবে উপকারী নয়, এবং কিছু ফল এড়িয়ে চলা উচিত।

খাওয়া যাবে এমন ফল:

  1. কলা: কলা পেটের জন্য ভালো কারণ এটি প্রাকৃতিক পটাসিয়ামের একটি উৎস। ডায়রিয়ার সময় পটাসিয়ামের মাত্রা হ্রাস পায় এবং কলা এই হারানো ইলেকট্রোলাইট পূরণে সাহায্য করতে পারে।
  2. আপেলসস: আপেলসস পেকটিন সমৃদ্ধ, যা এক ধরনের ফাইবার যা মলকে ঘন করতে সাহায্য করে। তবে, তাজা আপেলের চেয়ে আপেলসস বেশি উপযোগী কারণ এটি আরো সহজপাচ্য।
  3. পাকা পেয়ারা: পেয়ারা পেকটিনের একটি ভালো উৎস এবং এটি মলকে ঘন করতে সাহায্য করতে পারে।

এড়িয়ে চলা উচিত ফল:

  1. আম, পেঁপে এবং চেরি: এসব ফল পেটে গ্যাস তৈরি করতে পারে এবং ডায়রিয়াকে আরো খারাপ করতে পারে।
  2. খুব অম্লিক ফল: সাইট্রাস ফল, যেমন কমলা বা লেবু, পেটে অস্বস্তি বাড়াতে পারে।
  3. প্রচুর ফাইবার যুক্ত ফল: যেমন আঙ্গুর বা বেরি, যা পেটের সমস্যা আরো বাড়াতে পারে।
Last update: 15 November 2024, 09:41

DR. CHRIS ZAVOS, MD, PHD, FEBGH

Gastroenterologist - Hepatologist, Thessaloniki

PhD at Medical School, Aristotle University of Thessaloniki, Greece

PGDip at Universitair Medisch Centrum Utrecht, The Netherlands

Ex President, Hellenic H. pylori & Microbiota Study Group